রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য গ্রহওণর জন্য ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর সময় নির্ধারণ করেছে আদালত। মঙ্গল বার পঞ্চম দফায় তৃতীয় দিন আরো ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এনিয়ে মোট ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ৩২-তম সাক্ষী হিসেবে রামু সেনানিবাসের ১০, এমপি ইউনিটের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইমরান হাসান এর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর একে একে র্যাব-১৫ এর এএসআই নজরুল ইসলাম, এসআই সোহেল সিকদার পাল সাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হয়। দুপুর আড়াই টায় এসব সাক্ষী সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় তিন দিনে পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। চতুর্থ দফায় দুই দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় তিন দিনে ১৫ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply